স্মারক
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের স্মারক
বানী
রাশেদ খান
সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ’ দুই বছর পার করলো। সময়টা খুব অল্প হলেও বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করতে পরিষদের কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দকে ঘামঝরা পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমাদের মূলদল গণ, এবং ছাত্র, যুব ও সহযোগী অন্যান্য পরিষদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি সরকারি এজেন্ট কর্তৃক প্ররোচিত
হয়ে ভাঙনের চেষ্টা করলেও একমাত্র পেশাজীবী অধিকার পরিষদে এখনো পর্যন্ত কোনো বিতর্কিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এজন্য গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদের অভিভাবক সংগঠন ‘বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ’ এর সকল স্তরের নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ দেশের অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে পেশাজীবীদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের মেধা, মনন ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গণঅধিকার পরিষদসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করছি।
ইতোমধ্যে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ থেকে মূল দলের সিনিয়র নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন কয়েকজন। তাছাড়া পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী, আইনজীবী অধিকার পরিষদসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে অকৃত্রিম প্রীতির বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। দলের ও দেশের সংকট সময়ে চৌকস নেতৃত্ব উপহার দিয়েছেন পেশাজীবীরা। পেশাজীবী অধিকার পরিষদ গণ অধিকার পরিষদের একটি গবেষণা সেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ও যাবে। তাদের বিদগ্ধ গবেষণা, উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণী শক্তি, নৈতিক দৃঢ়তা, উন্নত যোগাযোগ দক্ষতা, শালীন ও রুচিশীল পরিবেশনা, অসাধারণ বাগ্মীতা, শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি’র উৎকর্ষ সাধন, মানবিক মর্যাদার রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মানে উদারতা ও দূরদৃষ্টি আমাদের সংগঠন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আগামির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
আমি মনে করি পেশাজীবী অধিকার পরিষদের দু’ বছরের এই পথ চলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতির এই ক্ষয়িষ্ণুকালে সাম্য, শান্তি ও অধিকারের দীপ্ত অঙ্গিকার নিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন। আপনাদের আগামির পথ চলা আরও সুন্দর আরও মসৃণ ও বিদগ্ধ হোক এই প্রত্যায়ে শুভকামনা ও শ্রদ্ধা রেখে শেষ করছি।
মু. রাশেদ খান
সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ।
বানী
মোঃ জাফর মাহমুদ
সভাপতি, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
একটি সফল ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার আদায় ও বৈষম্যের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করতে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগঠন থেকে মূল রাজনৈতিক দল তৈরি হওয়ার ইতিহাস বিরল। শুধু ছাত্র আন্দোলন নয়, বরং আমাদের যুব, শ্রমিক, প্রাবসী, পেশাজীবীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মূল দলের (গণ অধিকার পরিষদ) আত্মপ্রকাশের পূর্বে সারাদেশে সংগঠন বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এটা আমাদের গর্বের ব্যাপার যে, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ তরুণদের এই প্লাটফর্মে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় আহŸায়ক কমিটি গঠনের পর দু’ বছর অতিক্রান্ত হলেও সংগঠন প্রতিষ্টার ধারণা, উপযোগিতা, প্রয়োজনীয়তা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে কতটুকু ভূমিকা রাখা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন আমাদের সহযোদ্ধাগণ। আমি পরিষদের সভাপতি হিসেবে তাঁদের এই অসামান্য অবদানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি। কেননা, আমি জাফর মাহমুদ একজন নগণ্য ব্যক্তি। পেশাজীবীদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো তেমন কোনো যোগ্যতা আমার নেই। তথাপি পরিষদ যে মহান দায়িত্ব আমার ওপর অর্পন করেছে, যার যথাযথ মর্যাদা রক্ষার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার সহযোদ্ধাগণ যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে পরিষদকে অব্যাহত সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছেন বলে আজও কোনো রূঢ় বাস্তবাতার শিকার হতে হয়নি সংগঠনকে। আমি মনে করি আমাদের প্রতিটি পেশাজীবী ভাই-ই পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমার চেয়ে ঢের যোগ্যতা সম্পন্ন। তাঁদের সফল নেতৃত্বের কারণেই পরিষদ এতোদূর আসতে পেরেছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না।’ এদেশের জনগণও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে; বলা যায় বাধ্য হয়েই তাদের অধিকার হারিয়েছে। আর অধিকার ছাড়ার বিড়ম্বনায় পড়েছে গোটা জাতি। আমরা বাঙালিরা ’৪৭-এ দেশ ভাগ করেছি, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করেছি। একবার নয় কয়েকবার গণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্বৈরতন্ত্র বিদায় করেছি। সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করতে বিংশ শতাব্দির শেষ দিকে জেনারেল এরশাদের স্বৈরবাদের মসনদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছি। ’৯১-তে গণতান্ত্রিক সরকার যাত্রা শুরু করলে দেশের জনগণ একটা আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সেই গণতান্ত্রিক ধারা ২০০৬ সালের পর আবার বেহাত হয়ে যায়। জনগণের ওপর জেঁকে বসে ফ্যাসিস্ট আওয়ামি বাকশালী সরকার। বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব খাঁটিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয় এই স্বৈরচারী আওয়ামী সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিমূল করতে মামলা, হামলা, জেল-জুলুমসহ অত্যাচারের স্টিম রোলার চালায় সরকারি পেটুয়া বাহিনী ও সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ অন্যান্যরা। এখানেই শেষ নয়, দেশের সাংবিধানিক এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা ধ্বংস হতে বাকি আছে।
দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় আমরা পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করতে বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ জুলুমমুক্ত একটি অধিকার ভিত্তিক সুশাসনের বাংলাদেশ দেখতে চায়। এজন্য, দেশের সব পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে গড়ে তুলেছে পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ গণতন্ত্র পুণঃরুদ্ধার আন্দোলন। আমরা আশা করছি, দেশে আইনের শাসন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র, যুব, শ্রমিক, আইনজীবীসহ পেশাজীবীরা একটি সফল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই জগদ্দল পাথরের ভার থেকে দেশকে মুক্ত করবেন।
আমরা আমাদের পরিষদের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাজনীতি হবে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিন্তু বর্তমানে ও নিকট অতীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৎ, দেশপ্রেমিক, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, অসা¤প্রদায়িক, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন গণমানুষের অংশগ্রহণের পথ তৈরি করা প্রয়ে াজন। সা¤্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিপরীতে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রচারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের পরিষদ কাজ করবে। আমরা আরও বলেছি, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পেশাজীবীরা তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কাজ করবে। সুস্থ ধারার পরমত সহিষ্ণু রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে একটি অহিংস আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করবে পেশাজীবীরা। বাংলাদেশ যাতে আর কখনো তলাবিহীন ঝুড়ি না হয়, জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে যেনো কেউ আর কখনো ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার সকল সুক্ষাতিসুক্ষ ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে পরিষদ নেতারা।
পরিশেষে, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দেশের আপামর জনগণকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানাই। বিশেষ করে আমাদের মূল রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সংগ্রামী সভাপতি সাবেক ডাকসু ভিপি গণবন্ধু নুরুলহক নূর, সাধারণ সম্পাদক গণনেতা মু. রাশেদ খানসহ গণ, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী, আইনজীবীসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমাদের পেশাজীবী’র সকল রাজনৈতিক সহকর্মী ও বন্ধুকে। বিশেষ ধন্যবাদ সেই সকল মেধাবী, পরিশ্রমী, বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ সম্পাদকীয় পরিষদ নেতাদের, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায় সর্বোপরি তাদের নির্মোহ আন্তরিকতার ফরে এই স্মরণিকা আলোর মুখ দেখলো। দেশ ও সংগঠন পেলো একটি মর্জিত ও রুচিশীল প্রকাশনা। তাই আবারও এই স্মরণিকার সম্পদকীয় বোর্ডের সকল সদস্যকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একটি শান্তি ও সুন্দরের বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা
অব্যাহত থাকুক। এই প্রত্যাশায়।
জাফর মাহমুদ
সভাপতি, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
বানী
এ্যাডঃ খালিদ হোসেন
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
আজ এমন একটি মুহুর্তে আমরা পেশাজীবীরা বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এই স্মারক প্রকাশ করছি যখন, দেশের মানুষ এক ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট রীতিমত অস্তিত্বের। মানুষ আজ অধিকার হারা। দেশে গণতন্ত্র নেই। মানবাধিকার নেই। আইনের শাসন নেই। ভোটাধিকার নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। ন্যায় বিচারের ব্যাংক আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। মানবতার কোষাগারে ভাটা পড়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পর্যন্ত নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যায় শব্দটিকে নির্বাসনে দেওয়া হয়েছে। ভিন্নমত দমনে পুলিশ, র্যাপের পাশাপশি আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আফতাব আহমেদ (যিনি বস্ত্রাভাবে জাল পেচিয়ে বাসন্তির লজ্জা নিবারণের ঐতিহাসিক ছবি তুলেছিলেন), এডভোকেট এইউ আহমেদ, ব্যাংলার বিএম বাকের হুসাইনসহ অসংখ্য পেশাজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এখন চাকরি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হয় না। এসব হচ্ছে দলীয় বিবেচনায়। শুধু তাই নয়, ভিন্ন মতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতি বঞ্চিত করা ও চাকুরিচ্যুতি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। জুনিয়র অফিসারদের সিনিয়র ও সিনিয়রকে জুনিয়র বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে অনেক সিনিয়র অফিসারকে জুনিয়র কলিগকে স্যার বলতে হচ্ছে। এভাবে প্রশাসনে এক ভীতিকর ও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। এক দলীয় নিষ্ঠুর শাসন, নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দমন, বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার, নির্যাতন-নিপীড়ন, গায়েবি মামলা, দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে অর্থপাচার, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস, বিদুৎ ও পানি সঙ্কট, বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে সোনা জ্বালিয়াতি, বিমানবন্দরের ভোল্ট থেকে সোনা চুরি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, শোষ- বঞ্চনা এমনভাবে বেড়েছে যে, দেশ মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে মানুষ কিডনি বিক্রি করছে। এমনকি প্রিয় সন্তানকেও বিক্রির খবর পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। অন্যদেরকে আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী বিপুল অর্থবৃত্তের মালিক হয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছে। বিদেশে গড়ে তুলেছে বেগমপাড় া ও সেকেন্ড হোম। মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
কে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কারান্তরীণ থাকা কালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দেওয়া হলেও উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা দিন দিন বাড় তে থাকে। এখন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে চিকিৎসার প্রয়োজন বারবার আবেদন করেও সরকার এ বিষয়টি কর্ণপাতই করছে না।
সরকারের এমন নিষ্ঠুর আচরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে রাজনীতির ময়দান প্রধান প্রতিপক্ষ মুক্ত রেখে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে বিনা চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে জননন্দিত ও এ নেত্রীকে শেষ করে দিতে চায়। একটা সরকার কত নির্দয় নির্মম নিষ্ঠুর ও ভয়ংকর হলে এমনটি করতে পারে তা সহজে অনুমেয়। আজ আমরা পেশাজীবীরা শোষিত বঞ্চিত নিপীড়ি ত অধিকার হারা । প্রতিবাদ তো দূরে থাক, আমরা জোরে কাঁদতেও পারি না। দেশে অঘোষিত রাজতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে, অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হয় তারা রাজা আর আমরা প্রজা। এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বাঁচা কি যায়? এমন অন্যায়কি মেনে নেয় া যায? ় জাতির দুঃসময়ে বারবারি পেশাজীবীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে পেশাজীবীরা নিরব থাকতে পারে না। ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে আমরা অপরাধী হয়ে থাকতে চাই না। তাই আসুন সব পেশাজীবীরা এক সামিয়ানা তলে সমবেত হই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের বজ্রকণ্ঠকে উচ্চকিত করি। রুখে দাঁড়াই দুঃশাসন।
এ্যাডঃ খালিদ হোসেন
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।