বিচারহীনতার কথা বলতে গেলে সবার আগে একটা কথা আমাদের সবার মনে আসে তা হলো,
“Justice delayed is justice denied” পশ্চিমা দেশ থেকে এই কথা এলেও আমাদের দেশের
মানুষের মাঝেও এটা প্রচলিত, অনেকটা বদ্ধমূল বিশ্বাস।
৫/৭ জন সন্ত্রাসী প্রশাসনের সহায়তায় আর কিছু অসৎ রাজনীতিকের প্রশ্রয়ে লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি
করে রাখে, খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন করে, ত্রাস সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি করে। আরেকদল শহরে সরকারি
জায়গা দখল করে বস্তি বানায়, বস্তিউচ্ছেদ করতে গেলে বস্তিথেকে তোলা ভাড়ার টাকা দিয়ে বড় অসৎ,
নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যারিস্টার নিয়োগ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় ক্ষেপণ করে আর টাকার মালিক বনে
যায়। এসব কর্মকান্ডে কারা সহযোগী তা সবাই জানে, কিšদ ভয়ে মুখ বন্ধ রাখে। কারণ জনগণের শেষ
ভরসা প্রশাসন, সেই প্রশাসনকে বিশেষ ব্যবস্থায় ম্যানেজ করে সন্ত্রাসীরা মামলার আলামত নষ্ট করে,
সাক্ষীকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে যেতে ভয় দেখায়। মামলার নিষ্পত্তি বিলম্বিত হয়, বাড়ে জন-অসন্তোষ,
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির’ কথা আলোচিত হয় মিডিয়ায় দেদারসে।
ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলেই একশ্রেণির অসৎ দুর্নীতিবাজ
ক্ষমতাবান ও তাদের যোগসাজশকারী ব্যক্তি কর্তৃক সাংবাদিকের ওপর হামলা-নির্যাতন, এমনকি হত্যার
ঘটনা এখন যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত বিভিন্ন হামলা,
মামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বশীলদের খানিকটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
সাধারণ মানুষ তো আজকাল আর বিচার চান না কারণ তারা জানেন বিচার চাইলে আরও পরিবারের ওপর
আরও ক্ষতি নেমে আসবে ।