এক দশকেও শুরুহয়নি নারায়ণগঞ্ছের মেধাবী
কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার
বিচারকাজ।

এক দশকেও শুরুহয়নি নারায়ণগঞ্ছের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার
বিচারকাজ। ৬০ বার এ মামলার নথিপত্র আদালতে উঠেছে। বাদীপক্ষের দাবির
পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলের তাগিদও দিয়েছিলেন আদালত।
কার নির্দেশে, কোথায়, কীভাবে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী খুন হয়েছিলেন, হত্যার এক
বছরের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে সবই জানিয়েছিল র্যাব। হত্যার প্রধান আসামি
আজমেরী ওসমান তখন আত্মগোপনে ছিলেন। র্যবের তৎপরতা থেমে গেলে আড়াল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। নারায়ণগঞ্ছের সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা এবং নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী প্রতি মাসের ৮ তারিখে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করছেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ অপহরণের দুই দিন পর ত্বকীর লাশ উদ্ধার হয়েছিল শীতলক্ষ্যা নদীর শাখাখাল
থেকে। ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বীর উপলব্ধি হলো, বিচারটা থেমে আছে একটি নির্দেশের অপেক্ষায়।
তিনি মনে করেন, ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল শামীম ওসমানের ভাই সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান মারা যাওয়ার পর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ওসমান পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিলেন।
এরপর থেকেই ত্বকী হত্যার তদšত কার্যত থেমে যায়।