এখনো ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই : আবু হানিফ
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, বাংলাদেশে এখনো ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে এক রাজনৈতিক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইনে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দলীয় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে দক্ষ করে তোলার জন্য পেশাজীবী অধিকার পরিষদ পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করবে। দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের দক্ষ ও সুশৃঙ্খল করার কোনো বিকল্প নেই।
কর্মশালায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, দেশকে পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। গতানুগতিক রাজনৈতিক চিন্তার বাহিরে এসে নিজেদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, আমাদের পুরোনো রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। সেজন্য আমাদের নিজেদের দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে, সেই বাংলাদেশে এখনো ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। গত ৫ আগস্টের পূর্বে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিল, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সেই জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, দেশকে পরিবর্তন করার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বই পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সৎ নেতৃত্বের গুণাবলি এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এর বাইরে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বিষয়ে বলেন, প্রত্যেকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করাই একজন সফল রাজনৈতিক নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে ২০৫০ সালের মধ্যে এ দেশকে বিশ্বের প্রথম শ্রেণির দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে পারব। তার আগে প্রয়োজন সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোহাগ মোল্লার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডেন্টিস্ট জাফর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান সুমন।